EC
Engineering Classroom
by Himalay Sen

Exams

Prepare for your next test with our collection of exam-based practice sets and question banks designed for effective assessment and revision.

সালের প্রশ্ন

Access past board exam questions organized by year and subject to help you understand patterns, improve preparation, and boost your exam performance.

MCQ
921. প্রচুর + য = প্রাচুর্য- কোন প্রত্যয়?
কৃৎ প্রত্যয়
তদ্ধিত প্রত্যয়
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
ব্যাখ্যা: শব্দের সঙ্গে (শেষে) যেসব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয়, তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার। যথা: ১. বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় ২. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় ও ৩. তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। প্রচুর + য = প্রাচুর্য; 'য' প্রত্যয় যোগে গঠিত সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এরূপ আরও কয়েকটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ: মধুর + য = মাধুর্য, চতুর + য = চাতুর্য, কবি + য = কাব্য, সভা + য = সভ্য, তরুণ + য = তারুণ্য।
922. ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার একটি দল থেকে একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা নিয়ে কত প্রকারে একটি কমিটি গঠন করা যাবে?
১০
১৫
২৫
৩০
ব্যাখ্যা:
923. 'বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন'- এই পরোক্ষ উক্তির প্রত্যক্ষরূপ হবে:
বাবা ছেলেকে বললেন, বাবা তুমি দীর্ঘজীবী হও
বাবা ছেলেকে বললেন যে, তোমার দীর্ঘায়ু হোক
বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও'
বাবা ছেলেকে বললেন যে, আমি তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি
ব্যাখ্যা: কোনো কথকের বাক্ কর্মের নামই উক্তি। উক্তি দুই প্রকার। যথা: প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তিতে উক্তিটি প্রার্থনাসূচক বাক্যে থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়াপদটি উক্তির অর্থ অনুযায়ী 'প্রার্থনা করল', 'কামনা করল' প্রভৃতি হয়। যেমন প্রত্যক্ষ উক্তি বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও।' পরোক্ষ উক্তি- বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন। প্রত্যক্ষ উক্তি- সফিক বলল, 'সৃষ্টিকর্তা তোমাকে দীর্ঘজীবী করুক।' পরোক্ষ উক্তি সফিক সৃষ্টিকর্তার কাছে তার দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করল।
924. 'এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো'- এ বাক্য কোন ধরনের?
অনুজ্ঞাবাচক
নির্দেশাত্মক
বিস্ময়বোধক
প্রশ্নবোধক
ব্যাখ্যা: যে বাক্যে কোনো বক্তব্য সাধারণভাবে বিবৃত বা নির্দেশ করা হয় তাকে বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য বলে। যেমন- এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো। যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, নিষেধ ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। যেমন- সদা সত্য কথা বলবে। যে বাক্যে বিস্ময়, হর্ষ, শোক, ঘৃণা, ক্রোধ, ভয় ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায় তাকে বিস্ময়বোধক বাক্য বলে। যেমন-কী সাংঘাতিক লোক! যে বাক্যে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমন- তোমার নাম কী?
925. অপিনিহিতির উদাহরণ কোনটি?
জন্ম > জন্ম
আজি > আইজ
ডেস্ক >ডেসক
অলাবু > লাবু> লাউ
ব্যাখ্যা: পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ- কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। যেমন- আজি > আইজ, সাধু > সাউধ, সত্য > সইত্য। শব্দমধ্যস্থ দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাড করার প্রক্রিয়াকে সমীভবন বলে। যেমন জন্ম > জন্ম, কাঁদনা > কান্না। শব্দের মধ্যে দুটো ব্যঞ্জনের পরস্পর স্থান পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমন- ডেস্ক> ডেক্স, পিশাচ > পিচাশ। দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ। যেমন— আলাবু > লাবু > লাউ, সুবর্ণ > স্বর্ণ, আজি > আজ।
926. কোন বানানটি শুদ্ধ?
পুরষ্কার
আবিষ্কার
সময়পোযোগী
স্বত্ব
ব্যাখ্যা: স্বত্ব (স্ব+ত্ব) সংস্কৃত শব্দ; যার অর্থ বিষয়সম্পত্তি, ব্যবসায় প্রভৃতিতে অধিকার বা মালিকানা। অন্যদিকে পুরষ্কার, আবিস্কার ও সময়পোযোগী বানানের শুদ্ধরূপ যথাক্রমে পুরস্কার, আবিষ্কার ও সময়োপযোগী।
927. চর্যাপদের টীকাকারের নাম কী?
মীননাথ
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
মুনিদত্ত
ব্যাখ্যা: মুনিদত্ত ছিলেন সংস্কৃত টীকাকার। তিনি চর্যাপদের চারটি পুঁথি লিখেন এবং চর্যাপদের মূল পদগুলো লিখে সেগুলো সমকালীন বাংলায় রূপান্তরিত করেন। প্রতিটি পদের টীকা ভাষ্য প্রদান করেন। তবে ১১নং পদটি ব্যাখ্যা করা হয়নি। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের আবিষ্কারক। মীননাথ নাথধর্মী বৌদ্ধদের আদি গুরু। প্রবোধচন্দ্র বাগচী বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য।
928. a + b = 7 এবং ab = 12 হলে, 1/a^2 + 1/b^2 এর মান কত?
3/25
25/144
31/144
11/49
ব্যাখ্যা:
929. উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি?
শশব্যস্ত
কালচক্র
পরাণপাখি
বহুব্রীহি
ব্যাখ্যা: সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- শশকের ন্যায় ব্যস্ত শশব্যস্ত, কাজলের ন্যায় কালো = কাজলকালো, তুষারের ন্যায় শুভ্র তুষারশুভ্র। অন্যদিকে কাল রূপ চক্র = কালচক্র, পরান রূপ পাখি = পরানপাখি রূপক কর্মধারয় এবং বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি, বহুব্রীহি সমাস।
930. ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্বকে বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধানের নামই-
রসতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব
ক্রিয়ার কাল
ব্যাখ্যা: বাক্যতত্ত্ব বা অন্বয় (Syntax) কথাটি ব্যাকরণে বাক্যনির্মাণ প্রক্রিয়ার পরিভাষা। বাক্যে ভাষার ক্ষুদ্রতর উপাদানগুলো কীভাবে পাশাপাশি সজ্জিত হয়, বাক্যতত্ত্ব মূলত তারই নিয়মের সমষ্টি। নির্মাণ ও পদনির্মাণের কাজ ব্যাকরণের যে অংশে হয় তার নাম রূপতত্ত্ব।
931. কোন বানানটি শুদ্ধ?
মনোকষ্ট
মনঃকষ্ট
মণকষ্ট
মনকষ্ট
ব্যাখ্যা: শুদ্ধ বানান মনঃকষ্ট। মনঃকষ্ট সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ্য পদ; যার অর্থ মনের দুঃখ, মনোবেদনা। মনঃকষ্ট বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দ; যার সন্ধিবিচ্ছেদ- মনঃ + কষ্ট।
932. 'কুসীদজীবী' বলতে কাদের বুঝায়?
চারণকবি
সাপুড়ে
সুদখোর
কৃষিজীবী
ব্যাখ্যা: কুসীদজীবী (কুসীদ জীব+ ইন) সংস্কৃত শব্দ; যার দ্বারা বোঝানো হয়- সুদে টাকা ধার দেয়া যার পেশা। অর্থাৎ 'কুসীদজীবী' বলতে সুদখোরকে বুঝায়।
933. চিনির মূল্য ১০% কমে যাওয়ায় চিনির ব্যবহার শতকরা কত ভাগ বাড়ালে চিনি ১৭২ ঘ বাবদ খরচ একই থাকবে?
৮%
৮*১/৩%
১০%
১১*১/৯%
ব্যাখ্যা: ১০% কমে, পূর্বমূল্য ১০০ টাকা হলে, বর্তমান মূল্য (১০০ – ১০) = ৯০ টাকা বর্তমান মূল্য ৯০ টাকা হলে পূর্বমূল্য ১০০ টাকা ১০০/ ৯০ ১০০×১০০/ ৯০ = ১১১*১/৯ টাকা :: চিনির ব্যবহার বাড়ানো যাবে = (১১১*১/৯-১০০)% = ১১*১/৯%
934. ১ থেকে ৪৪০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর একটি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নেওয়া হলে সংখ্যাটি বর্গসংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা-
১/ ২২
১/৬৪
১/৬০
২ /৬৫
ব্যাখ্যা: (২০)2 = ৪০০, (২১)2 = ৪৪১ >৪৪০ ১ থেকে ৪৪০ এর মধ্যে মোট সংখ্যা = ৪৪০টি 880 বর্গ সংখ্যা = ২০টি .:. বর্গ সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা = ২০/৪৪০= ১/২২
935. 'অভাব' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে কোন উপসর্গটি?
অকাজ
আবছায়া
আলুনি
নিখুঁত
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার। যথা: বাংলা (২১টি), তৎসম বা সংস্কৃত (২০টি) ও বিদেশি উপসর্গ। তবে আ, সু, বি, নি এ চারটি উপসর্গ বাংলা ও তৎসম উভয় উপসর্গেই রয়েছে। বাংলা 'আ' উপসর্গযোগে গঠিত 'আলুনি শব্দে 'আ' উপসর্গটি অভাব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এরূপ আকাঁড়া, আধোয়া, আচালা, আছাঁটা ইত্যাদি। অন্যদিকে অকাজ শব্দে 'অ' উপসর্গটি নিন্দিত অর্থে, আবছায়া শব্দে 'আব' উপসর্গটি 'অস্পষ্টতা' অর্থে ও নিখুঁত শব্দে 'নি' উপসর্গটি 'নাই/নেতি' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অকাজ, আবছায়া ও নিখুঁত-এ তিনটি শব্দই বাংলা উপসর্গযোগে গঠিত।
936. বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন কে?
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
রাজশেখর বসু
হরিচরণ দে
অশোক মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। তার সম্পাদিত অভিধান 'বঙ্গভাষাভিধান' ১৮১৭ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে রাজশেখর বসু 'চলন্তিকা', হরিচরণ দে 'নূতন বাঙ্গালা অভিধান' ও অশোক মুখোপাধ্যায় 'সমার্থশব্দকোষ' অভিধান সংকলন করেন।
937. বার্ষিক ১০% মুনাফায় ৮০০ টাকার ২ বছরের চক্রবৃদ্ধি মূলধন কত?
৯৪০ টাকা
৯৬০ টাকা
৯৬৮ টাকা
৯৮০ টাকা
ব্যাখ্যা: আমরা জানি, চক্রবৃদ্ধি সুদাসল C = P (১ + r)n =৮০০(১+10/১০০)2 = ৮০০×১১/১০×১১/১০ = ৯৬৮ টাকা
938. 'ডিডি টেনে বের করতে হবে।'- কোন ধরনের বাচ্যের উদাহরণ?
কর্মবাচ্য
ভাববাচ্য
যৌগিক
কর্মকর্তৃবাচ্য
ব্যাখ্যা: যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। যেমন- ডিঙি টেনে বের করতে হবে। যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে। যেমন- মুবারক কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে। যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলে। যেমন- সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।
940. একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৫% বৃদ্ধি করলে তার ক্ষেত্রফল শতকরা কত বৃদ্ধি পাবে?
৫%
১০%
২০%
২৫%
ব্যাখ্যা: ধরি, আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য = x প্রস্থ = y ক্ষেত্রফল = xy দৈর্ঘ্য 5% বাড়ালে দৈর্ঘ্য হবে =x+5x/100 = 21x /20 5% ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি =21xy /20 ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি =(21xy /20-xy)= xy/ 20 শতকরা ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি = xy/20/xy × 100%=5%