EC
Engineering Classroom
by Himalay Sen

Exams

Prepare for your next test with our collection of exam-based practice sets and question banks designed for effective assessment and revision.

Board Questions

Access past board exam questions organized by year and subject to help you understand patterns, improve preparation, and boost your exam performance.

বাংলাদেশ রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের ভাইভার জন্য রেলওয়ে সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর: by Himalay Sen, Sub-Assistant Engineer, PWD
Image

 

১. বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান মহাপরিচালক (DG) কে?
উত্তর: বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমান মহাপরিচালক হলেন জনাব
মো. আফজাল হোসেনতিনি ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এর আগে তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক এবং রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

২. বাংলাদেশ রেলওয়ের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকার কমলাপুরে।

৩. বাংলাদেশ রেলওয়ে কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়?
উত্তর: রেলপথ মন্ত্রণালয়।

৪. বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ কবে এবং কোথায় স্থাপিত হয়?
উত্তর: ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর কুষ্টিয়ার জগতি থেকে দর্শনা পর্যন্ত (৫৩.১১ কিমি)।

৫. বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ কোনটি?
উত্তর:
বর্তমানে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ হলো বুড়িমারী-ঢাকা পথ, যা প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে পথ হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামের ট্রেন এই রুটে চলাচল করে। 

৬. বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়টি অঞ্চল রয়েছে এবং কি কি?
উত্তর: দুইটি অঞ্চল: পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল।

৭. পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: চট্টগ্রাম।

৮. পশ্চিমাঞ্চলের সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: রাজশাহী।

৯. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে জংশন কোনটি?
উত্তর: ঈশ্বরদী জংশন।

১০. বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ লাইনের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর:
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ লাইনের দৈর্ঘ্য ,৮৩৮ কিমি, ব্রডগেজ লাইনের দৈর্ঘ্য ৬৬০ কিমি এবং ডুয়েলগেজ লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৫ কিমি।  (সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী)।

১১. বাংলাদেশ রেলওয়েতে কয় ধরনের কোচ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মূলত মিটারগেজ ও ব্রডগেজ কোচ। বিভিন্ন ধরনের যেমন: শোভন চেয়ার, ফার্স্ট ক্লাস, এসি চেয়ার, স্লিপার, পাওয়ার কার ইত্যাদি।

১২. রেলওয়েতে সিগনালিং সিস্টেমের গুরুত্ব কী?
উত্তর: ট্রেনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা, সংঘর্ষ এড়ানো, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা এবং সময়সূচী বজায় রাখা।

১৩. রেলওয়ে ট্র্যাকের প্রধান উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর: রেল, স্লিপার (বা টাই), ব্যালাস্ট, ফিশপ্লেট, ফাস্টেনিং (ক্লিপ, স্ক্রু)।

১৪. একটি রেলওয়ে ইঞ্জিনের প্রধান কাজ কী?
উত্তর: ট্রেনকে টেনে নিয়ে যাওয়া।

১৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমানে চালু থাকা কিছু মেগা প্রকল্পের নাম বলুন।
উত্তর: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেল প্রকল্প, দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প।

১৬. ডুয়েলগেজ ট্র্যাক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে ট্র্যাকে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ উভয় ধরনের ট্রেন চলাচল করতে পারে। এটি তিনটি রেল দ্বারা গঠিত।

১৭. রেলওয়েতে লাইন ক্যাপাসিটি কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়কালে একটি রেললাইনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করার ক্ষমতা।

১৮. রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের প্রধান কাজ কী?
উত্তর: যাত্রীদের নিরাপদে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে সহায়তা করা।

১৯. রেলওয়েতে ব্রেকিং সিস্টেমের গুরুত্ব কী?
উত্তর: ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরাপদে থামানো।

 

এই pdf টি Engineering Classroom ওয়েবসাইটে Viva ফোল্ডারে পাবেন।

২০. বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়ের প্রধান উৎস কী?
উত্তর: যাত্রী পরিবহন, পণ্য পরিবহন এবং অন্যান্য ভাড়া (যেমন লিজ)।

২১. রেলওয়েতে 'পাসিং লুপ' কী?
উত্তর: এটি একটি অতিরিক্ত ট্র্যাক যা একটি স্টেশনে বা লাইনে ট্রেনকে একে অপরকে পাস করার বা অতিক্রম করার সুযোগ দেয়।

২২. রেলওয়ে ক্রসিং কী এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
উত্তর: যেখানে সড়কপথ রেলপথকে অতিক্রম করে। গেটকিপার, সিগন্যাল, ব্যারিকেড এবং সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়।

২৩. 'ওয়াগন' এবং 'কোচ'-এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: ওয়াগন পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, আর কোচ যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

২৪. 'লোকোমোটিভ' কাকে বলে?
উত্তর: ট্রেনকে টানার জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জিনকে লোকোমোটিভ বলে।

২৫. রেলওয়েতে 'ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ' কিভাবে কাজ করে?
উত্তর: এটি ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, যা ইলেকট্রিক মোটরকে ঘুরিয়ে ট্রেনকে চালায়।

২৬. 'ইন্টারলকিং সিস্টেম' কী?
উত্তর: এটি একটি সিগনালিং সিস্টেম যা নিশ্চিত করে যে ট্রেনের চলাচল নিরাপদ এবং একই সময়ে দুটি ট্রেন একই ট্র্যাকে প্রবেশ করতে না পারে।

২৭. রেলওয়ে স্লিপার কী দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর: বর্তমানে সাধারণত কংক্রিট দিয়ে তৈরি হয়, তবে পূর্বে কাঠ ও ইস্পাত ব্যবহার করা হতো।

২৮. 'ব্যালাস্ট' কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: এটি ট্র্যাককে স্থিতিশীলতা দেয়, স্লিপার ধরে রাখে, ট্রেনের ওজন বিতরণ করে এবং জল নিষ্কাশনে সহায়তা করে।

২৯. 'পাওয়ার কার' এর কাজ কী?
উত্তর: এটি ট্রেনের কোচগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে (এসি, আলো, পাখা চালানোর জন্য)।

৩০. বাংলাদেশ রেলওয়েতে 'মহিলা কোচ' আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, কিছু ট্রেনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন বা কোচ থাকে।

৩১. একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে আপনার প্রধান দায়িত্ব কী হবে?
উত্তর: রেলওয়ে ট্র্যাক, সেতু, ভবন এবং অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে সহায়তা করা, সুপারভাইজ করা এবং ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীদের নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করা।

৩২. রেলওয়েতে 'ট্র্যাক মেইনটেনেন্স'-এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর: ট্রেনের নিরাপদ ও মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো, ট্র্যাকের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করা এবং যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা।

৩৩. 'ক্র্যাক' বা 'ফাটল'যুক্ত রেল ট্র্যাক শনাক্ত করলে আপনার প্রথম পদক্ষেপ কী হবে?
উত্তর: তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো, ট্র্যাফিক বন্ধ করার ব্যবস্থা করা (যদি গুরুতর হয়) এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৩৪. রেলওয়েতে 'ওয়াটার লগিং' সমস্যা দেখা দিলে তা কিভাবে মোকাবিলা করবেন?
উত্তর: নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, ব্যালাস্ট পরিষ্কার রাখা, প্রয়োজন অনুসারে ড্রেনেজ পাইপ স্থাপন করা এবং উপযুক্ত ঢাল নিশ্চিত করা।

৩৫. একটি নতুন রেললাইন স্থাপনের সময় কী কী বিষয় বিবেচনা করা উচিত?
উত্তর: মাটির প্রকৃতি, টোপোগ্রাফি, পরিবেশগত প্রভাব, ব্যয়, জনবসতি, ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা এবং ট্র্যাফিকের চাহিদা।

৩৬. 'রেল ফাটল' (Rail Fracture) কি কি কারণে হতে পারে?
উত্তর: তাপমাত্রা পরিবর্তন, অতিরিক্ত লোড, দুর্বল নির্মাণ, ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং, পুরোনো ট্র্যাক এবং ফাটল।

৩৭. রেলওয়েতে 'ব্রিজ মেইনটেনেন্স'-এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: সেতুর কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখা, ট্রেনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা এবং সেতুর আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করা।

৩৮. 'স্লিপার ডেনসিটি' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রতি কিলোমিটার রেলপথে ব্যবহৃত স্লিপারের সংখ্যা।

৩৯. রেলওয়েতে 'ওয়েল্ডিং' এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর: রেলের টুকরা গুলোকে সংযুক্ত করে একটি অবিচ্ছিন্ন ট্র্যাক তৈরি করা, ফিশপ্লেটের প্রয়োজনীয়তা কমানো এবং মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করা।

৪০. 'ট্র্যাক জিওমেট্রি' কী এবং এর বিভিন্ন প্যারামিটারগুলো কী কী?
উত্তর: ট্র্যাকের জ্যামিতিক বিন্যাস। প্রধান প্যারামিটারগুলো হলো: গেজ, সুপার-এলিভেশন (ক্যান্ট), কেন্ট ডেফিসিয়েন্সি, ট্র্যাক অ্যালেনমেন্ট (সোজাতা ও বক্রতা) এবং লেভেল।

৪১. 'গেজ' কী এবং এর প্রকারভেদ?
উত্তর: দুটি রেলের ভেতরের প্রান্তের মধ্যবর্তী দূরত্ব। গেজ প্রধানত চার প্রকার। বাংলাদেশে প্রধানত মিটারগেজ (১০০০ মিমি) এবং ব্রডগেজ (১৬৭৬ মিমি), ন্যানো গেজ বিদ্যামান। বাংলাদেশে ডুয়েলগেজও প্রচলিত।

৪২. 'সুপার-এলিভেশন' বা 'ক্যান্ট' কেন দেওয়া হয়?
উত্তর: বক্রপথে ট্রেনের নিরাপদ ও আরামদায়ক চলাচল নিশ্চিত করতে, ভেতরের রেলের তুলনায় বাইরের রেলকে কিছুটা উঁচু করে রাখা হয়।

৪৩. 'ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক' সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
উত্তর: এটি এমন একটি ট্র্যাক যেখানে ব্যালাস্ট ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে স্লিপার বা টাই সরাসরি কংক্রিটের স্ল্যাবের উপর বসানো হয়। এটি উচ্চ গতির ট্রেনের জন্য উপযোগী।

৪৪. রেলওয়েতে 'ডিপার্টমেন্টাল ট্র্যাক' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রেলওয়ে কর্মীদের দ্বারা নির্মিত এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা ট্র্যাক, যা সাধারণত রেলওয়ে ইয়ার্ড বা ওয়ার্কশপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

৪৫. 'আরবান রেল' এবং 'মেইনলাইন রেল'-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
উত্তর: আরবান রেল (যেমন মেট্রো) সাধারণত শহরের মধ্যে স্বল্প দূরত্বে যাত্রী পরিবহন করে, উচ্চ ঘনত্বের ট্র্যাফিক থাকে এবং প্রায়শই বিদ্যুৎ দ্বারা চলে। মেইনলাইন রেল দীর্ঘ দূরত্বে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে।

৪৬. রেলওয়ে সেতুতে 'ফাউন্ডেশন' নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়?
উত্তর: মাটির ভারবহন ক্ষমতা, জলের স্তর, সেতুর লোড, ভূকম্পন প্রবণতা এবং অর্থনৈতিক দিক।

৪৭. রেলওয়েতে 'রেল ক্রিপ' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: এটি রেলের অনুদৈর্ঘ্য গতি, অর্থাৎ রেলের তার আসল অবস্থান থেকে সামনের দিকে বা পিছনের দিকে সরে যাওয়া।

৪৮. 'থার্মিট ওয়েল্ডিং' এর প্রক্রিয়া সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর: এটি একটি ওয়েল্ডিং পদ্ধতি যেখানে অ্যালুমিনিয়াম পাউডার এবং আয়রন অক্সাইডের মিশ্রণকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়িয়ে গলিত ধাতু তৈরি করা হয়, যা রেলের জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

৪৯. 'প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট স্লিপার' কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: এটি স্লিপারের শক্তি বৃদ্ধি করে, ফাটল প্রতিরোধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৫০. একটি 'টার্নআউট' বা 'পয়েন্ট অ্যান্ড ক্রসিং' এর প্রধান উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর: সুইচ রেল, স্টক রেল, ক্রসিং (ফ্রগ), চেক রেল এবং স্লিপার।

৫১. পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
উত্তর: এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প যা ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

৫২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: যমুনা নদীর উপর একটি ডেডিকেটেড রেল সেতু নির্মাণ করে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত করা এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানো।

৫৩. ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেল প্রকল্প সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
উত্তর: এটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে উচ্চ গতির রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে, যা ভ্রমণের সময় অনেক কমিয়ে আনবে এবং দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি আনবে।

৫৪. দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের গুরুত্ব কী?
উত্তর: কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা, যা পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করবে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।

৫৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিটালকরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
উত্তর: ই-টিকিটিং, অনলাইন সিট রিজার্ভেশন, ট্র্যাকিং সিস্টেম, ওয়াইফাই সুবিধা এবং আধুনিক সিগনালিং সিস্টেমের প্রবর্তন।

৫৬. বাংলাদেশ রেলওয়েতে ডাবল ট্র্যাক বা ডুয়েলগেজ ট্র্যাকের সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর: ট্রেনের চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি, সময় অপচয় কমানো, দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস এবং সেবার মান উন্নত করা।

৫৭. বাংলাদেশে মেট্রো রেলের প্রভাব কী হতে পারে?
উত্তর: যানজট কমানো, শহরের অভ্যন্তরে দ্রুত ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পরিবেশ দূষণ হ্রাস এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

৫৮. বাংলাদেশ রেলওয়েতে ইলেক্ট্রিক ট্র্যাকশন (Electric Traction) প্রবর্তনের সম্ভাবনা কতটুকু?
উত্তর: বর্তমানে কিছু রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব এবং পরিচালন ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।

৫৯. ভবিষ্যতে রেলওয়ের পণ্য পরিবহনে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?
উত্তর: মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিক কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন, লজিস্টিক সুবিধা উন্নত করা এবং আন্তঃদেশীয় পণ্য পরিবহনে জোর দেওয়া।

৬০. বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে বিদেশি সহায়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক মেগা প্রকল্প বিদেশি ঋণ ও সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা প্রযুক্তির হস্তান্তর এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে।

৬১. আপনি কেন এই পদে আবেদন করেছেন?
উত্তর: আমি রেলওয়ের প্রতি আগ্রহী এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। আমার প্রকৌশলগত জ্ঞান ও দক্ষতা এই পদে কাজে লাগাতে পারব বলে মনে করি।

৬২. আপনার strengths এবং weaknesses কি কি?
উত্তর: (আপনার নিজের strengths ও weaknesses উল্লেখ করুন। যেমন: Strength - দলগত কাজ করতে সক্ষম, দ্রুত শিখতে পারি, সমস্যা সমাধানে পারদর্শী; Weakness - অতিরিক্ত নিখুঁত হতে চাই)।

৬৩. চাপ সামলানোর ক্ষমতা আপনার কেমন?
উত্তর: আমি চাপ সামলাতে অভ্যস্ত এবং চাপের মধ্যেও দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারি।

৬৪. আপনি কি দলগতভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন নাকি একা?
উত্তর: আমি উভয় পরিস্থিতিতেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তবে দলগতভাবে কাজ করাকে বেশি ফলপ্রসূ মনে করি।

৬৫. এই পদের জন্য আপনি নিজেকে কেন যোগ্য মনে করেন?
উত্তর: আমার প্রকৌশলগত জ্ঞান, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং শেখার আগ্রহ আমাকে এই পদের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। আমি রেলওয়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৬৬. আপনার অবসর সময়ে আপনি কি করেন?
উত্তর: (আপনার শখ উল্লেখ করুন, যেমন: বই পড়া, খেলাধুলা, নতুন কিছু শেখা)।

৬৭. আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য কী?
উত্তর: একজন সফল প্রকৌশলী হওয়া এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী অবদান রাখা।

৬৮. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে মতবিরোধ হলে আপনি কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
উত্তর: আমি শান্তভাবে আমার যুক্তি তুলে ধরব এবং তার মতামতকে সম্মান জানাব। চূড়ান্তভাবে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মেনে চলব।

৬৯. আপনার কাজ করার ক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতার গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তর: কাজের ক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতা অপরিহার্য। এটি পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে এবং আস্থা তৈরি করতে সাহায্য করে।

৭০. প্রযুক্তির সাথে আপনার পরিচিতি কেমন?
উত্তর: আমি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত এবং নতুন সফটওয়্যার ও টুলস শিখতে আগ্রহী।

৭১. বাংলাদেশ রেলওয়ের স্লোগান কী?
উত্তর: "নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী রেল সেবা।"

৭২. 'বিজি (BG)' এবং 'এমজি (MG)' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বিজি মানে ব্রডগেজ এবং এমজি মানে মিটারগেজ।

৭৩. 'রোলিং স্টক' কী?
উত্তর: রেলওয়েতে ব্যবহৃত সকল ট্রেন, কোচ, ওয়াগন এবং লোকোমোটিভকে সম্মিলিতভাবে রোলিং স্টক বলা হয়।

৭৪. রেলওয়েতে 'লুব্রিকেশন' এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: চাকার ঘর্ষণ কমানো, যন্ত্রাংশের ক্ষয় রোধ করা এবং ট্রেনের মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করা।

৭৫. 'র‍্যাম্প' কী?
উত্তর: প্ল্যাটফর্মে বা অন্য কোনো স্থানে সহজে প্রবেশ বা প্রস্থানের জন্য ব্যবহৃত ঢালু পথ।

৭৬. 'গ্যাঞ্জেটিক রেল ব্রিজ' কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।

৭৭. 'রেলওয়ে ওয়ার্কশপ' এর প্রধান কাজ কী?
উত্তর: রেলওয়ে কোচ, ওয়াগন এবং লোকোমোটিভ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।

৭৮. 'লেভেল ক্রসিং' এ দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো কী কী?
উত্তর: গেটকিপারের অবহেলা, যানবাহনের চালকদের অসাবধানতা, সিগনাল অমান্য করা এবং দ্রুত গতিতে চলাচল।

৭৯. 'টানেল' নির্মাণে কি কি প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়?
উত্তর: মাটির স্থিতিশীলতা, জল নিষ্কাশন, বায়ুচলাচল, নির্মাণ ব্যয় এবং নিরাপত্তা।

৮০. 'রেলওয়ের সেফটি প্রোটোকল' সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
উত্তর: রেলওয়েতে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে অনুসরণীয় নিয়মকানুন ও পদ্ধতি, যেমন সিগনাল মেনে চলা, গতি নিয়ন্ত্রণ করা, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা।

৮১. রেলওয়েতে 'ফ্রেইট ট্রেন' কাকে বলে?
উত্তর: পণ্যবাহী ট্রেন।

৮২. 'প্যাসেঞ্জার ট্রেন' কাকে বলে?
উত্তর: যাত্রীবাহী ট্রেন।

৮৩. 'রেলওয়ে নেটওয়ার্ক' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একটি দেশের সমস্ত রেললাইন, স্টেশন এবং অবকাঠামোর সমষ্টি।

৮৪. 'ইলেকট্রিক সিগনালিং সিস্টেম' এর সুবিধা কী?
উত্তর: এটি দ্রুত, নির্ভুল এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিগনাল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।

৮৫. 'ওয়েল্ডিং' এর প্রকারভেদ কী কী?
উত্তর: আর্ক ওয়েল্ডিং, গ্যাস ওয়েল্ডিং, থার্মিট ওয়েল্ডিং, রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং ইত্যাদি।

৮৬. 'স্লিপার' এর প্রকারভেদ?
উত্তর: কাঠের স্লিপার, কংক্রিটের স্লিপার, ইস্পাতের স্লিপার। বর্তমানে কংক্রিটের স্লিপার বেশি ব্যবহৃত হয়।

৮৭. রেলওয়েতে 'আর্থিং' এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করা এবং যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৮৮. 'আন্ডারপাস' এবং 'ওভারপাস' এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: আন্ডারপাস রেললাইনের নিচ দিয়ে যায়, আর ওভারপাস রেললাইনের উপর দিয়ে যায়।

৮৯. 'ট্র্যাক ক্লিয়ারেন্স' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ট্র্যাকের আশেপাশে কোনো বাধা না থাকার নিশ্চিতকরণ, যাতে ট্রেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে।

৯০. রেলওয়েতে 'জরুরি ব্রেকিং' কখন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: জরুরি পরিস্থিতিতে ট্রেন থামানোর জন্য, যেমন: দুর্ঘটনার ঝুঁকি, ট্র্যাকের বাধা।

৯১. রেলওয়েতে 'বগির ওজন' কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: বগির ওজন ট্র্যাকে চাপ সৃষ্টি করে, যা ট্র্যাকের ক্ষয় এবং মেরামতের প্রয়োজনীয়তাকে প্রভাবিত করে।

৯২. 'রিলে' কী এবং এর কাজ কী?
উত্তর: এটি একটি বৈদ্যুতিক সুইচ যা একটি ছোট কারেন্ট ব্যবহার করে একটি বড় কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সিগনালিং সিস্টেমে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

৯৩. 'সুপারিশ করা' (recommendation) এবং 'পর্যবেক্ষণ করা' (supervision) এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: সুপারিশ করা মানে কোনো প্রস্তাব বা পরামর্শ দেওয়া, আর পর্যবেক্ষণ করা মানে কাজের অগ্রগতি ও মান দেখাশোনা করা।

৯৪. 'পাওয়ার ব্রেকিং সিস্টেম' কী?
উত্তর: এটি এমন একটি ব্রেকিং সিস্টেম যা ট্রেনের ব্রেক প্রয়োগ করতে বায়ুচাপ বা বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে।

৯৫. 'রেলওয়ে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো নতুন কাজ বা সরঞ্জামের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা যেখানে নির্মাতা বা সরবরাহকারী কোনো ত্রুটি বা সমস্যার জন্য দায়ী থাকে।

৯৬. 'সিগনাল পোস্ট' এর কাজ কী?
উত্তর: ট্রেন চালকদের নির্দেশনা দেওয়া, যেমন: থামাতে হবে, গতি কমাতে হবে বা চলতে হবে।

৯৭. 'ট্র্যাকের নয়েজ' কিভাবে কমানো যায়?
উত্তর: উন্নত ব্যালাস্ট, রাবার প্যাড ব্যবহার, ট্র্যাকের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নত প্রযুক্তির রোলিং স্টক ব্যবহার করে।

৯৮. 'রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম' এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: ট্রেনের সময়সূচী, কর্মীদের ব্যবস্থাপনা, টিকিট বিক্রি, পণ্য পরিবহন এবং অন্যান্য কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা।

৯৯. 'ক্যান্ট ডেফিসিয়েন্সি' কী?
উত্তর: যখন একটি বক্রপথে ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ গতির চেয়ে বেশি হয়, তখন প্রয়োজনীয় সুপার-এলিভেশন এবং বিদ্যমান সুপার-এলিভেশনের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে, তাই ক্যান্ট ডেফিসিয়েন্সি।

১০০. 'রেলওয়েতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট' কমানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
উত্তর: বৈদ্যুতিক ট্রেন ব্যবহার, জ্বালানি সাশ্রয়ী লোকোমোটিভ ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার এবং সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার।

১০১. আপনার এলাকায় বা আপনার দেখা রেলওয়ের কোনো সমস্যা চিহ্নিত করুন এবং সমাধানের জন্য একটি প্রস্তাব দিন।
উত্তর: (আপনার এলাকার বাস্তব সমস্যার উপর ভিত্তি করে উত্তর দিন। যেমন: লেভেল ক্রসিংয়ে যানজট, স্টেশনে অপরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি এবং তার সমাধানের জন্য প্রকৌশলগত বা ব্যবস্থাপনাগত প্রস্তাবনা দিন।)

 

 

উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাকরি পরীক্ষার জন্য সেরা ইংরেজি বই English For Exam বই। MCQ+Written উভয় পরীক্ষার জন্য এই এক বইয়ে সব দেওয়া আছে। বিগত সালের সব প্রশ্ন টপিক ভিত্তিক দেওয়া আছে। বইটি ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি ঢাকার নীলক্ষেত এ জামালপুর লাইব্রেরী ও গাজীপুর ডুয়েট এরিয়ায় নিউ জামালপুর লাইব্রেরীতে পাওয়া যাচ্ছে।

আর সারা বাংলাদেশে কুরিয়ারে নিতে যোগাযোগ করুন – 01792129022 Whatsapp