ব্যাখ্যা: ১। সড়কে সংযোগের আকৃতি অনুযায়ী ৮ প্রকার। ২। সড়কে সংযোগ নির্দেশক আইল্যান্ড ও অন্যান্য নির্দেশকের উপর ভিত্তি করে ২ প্রকার। ৩। রোটারি সড়ক সন্ধি ৫ প্রকার। কিন্তু সড়ক সন্ধি মূলত ২ প্রকার; যথা- (ক) সমতলে সড়ক সন্ধি, (খ) ভিন্নতলে সড়ক সন্ধি।

ব‍্যাখ্যা: যে সড়ক নির্মাণে বন্ধনী পদার্থ হিসেবে বিটুমিনজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তাকে বিটুমিন সড়ক বলে। বিটুমিন জাতীয় পদার্থ হিসেবে বিটুমিন, টার, পিচ, অ্যাসফাল্ট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।

এখানে, X = অতিরিক্ত প্রস্থতা n = লেন সংখ্যা V = গাড়ির গতিবেগ R = বাঁকের ব্যাসার্ধ ব্যাখ্যা: সড়কের বাঁকে অতিরিক্ত প্রশস্ততা নির্ণয়ের সমীকরণ X=(aL^2/2R)+V/(10√R) যেখানে, x = মোট অতিরিক্ত প্রশস্ততা, m n = লেন সংখ্যা দেওয়া না থাকলে 2 ধরে নিতে হয় l = সামনের ও পেছনের চাকার দূরত্ব, m R = বাঁকের ব্যাসার্ধ, m V = গাড়ির গতিবেগ, km/h.

ব্যাখ্যা: তথ্যমূলক (পথপ্রদর্শক চিহ্ন): কোনো বিশেষ স্থান বা তথ্য সম্পর্কে চালককে জানানোর জন্য এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, পার্ক, মসজিদ, হাসপাতাল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যাতে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় তাই তথ্যমূলক/পথপ্রদর্শক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

ব্যাখ্যা: প্রতি মিটারে গাড়ির সুপার এলিভেশন, e = (V^2/127R – f) cm or m যেখানে, e= সুপার এলিভেশন (মিটার বা cm) V= গাড়ির গতিবেগ (km/h) R = বাঁকের ব্যাসার্ধ (m) f = ঘর্ষণ সহগ (একক নেই)

ব্যাখ্যা: সড়কের জোড় প্রধানত দুই প্রকার, যথা- (1) লম্বালম্বি জোড় (ii) আড়াআড়ি জোড়।

ব্যাখ্যা: পেভমেন্টের সর্বনিম্ন স্তরকে সাবগ্রেড বলে। রাস্তার ভিত্তি হিসেবে সাবগ্রেড কাজ করে। এর উপরেই সাববেজ বেজকোর্স এবং ওয়ারিং কোর্স স্থাপন করা হয়।

ব্যাখ্যা: ডাউয়েল বার সাধারণত ১৮ ইঞ্চি লম্বা হয়।

ব্যাখ্যা: সড়কের দৈর্ঘ্য বরাবর অনুভূমিক দূরত্বের সাথে সড়কপৃষ্ঠের উন্নতি বা অবনতির হারকে গ্রেডিয়েন্ট বা লম্বালম্বি ঢাল বলে। যেমন- 1:30 ঢাল বলতে 30m অনুভূমিক দূরত্বে। মিটার উন্নতি বা অবনতিকে বুঝায়।

ব্যাখ্যা: এগ্রিগেটসমূহের গুণাগুণ ও উপযুক্ততা জানার জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয়- (i) Abrasion Test: কাঠিন্যতা মান জানার জন্য। (ii) Aurition Text: কাঠিন্যতা ও ঘাত সহনীয়তা জানার জন্য। (iii) Los Angeles Abrasion Test কাঠিন্যতা ও খাত সহনীয়তা জানার জন্য। (iv) Crushing Text: পাথরের ব্লকের চাপশক্তি জানার জন্য। (v) Impact Test: ঘাত সহনীয়তা জানার জন্য। (vi) Soundness Test: স্থায়িত্বশীলতার জানার জন্য। (vii) Shape Test: এগ্রিগেটের বিভিন্ন আকৃতি যেমন চ্যাপ্টা সূচক, দৈর্ঘ্য সূচক, কোণ সূচক ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।

ব্যাখ্যা: কংক্রিট সড়ক ২৪ ঘণ্টা হতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক সেট হয় বলে ফর্মাগুলো সরানো যেতে পারে। ৭ দিন পর যানবাহন চলাচল করতে পারলেও ২৮ দিন পর্যন্ত কিউরিং করলে এটি তার সম্পূর্ণ কার্যকর শক্তিতে পৌঁছায়।

ব্যাখ্যাঃ কায়িক বা যান্ত্রিক উপায়ে প্রস্তুতকৃত পৃষ্ঠের উপর সমপুরুত্বে এমিগেট বিছানো হয়। ১০ টন রোলার দিয়ে শুদ্ধ রেগিং করা হয়।

ব্যাখ্যা: ইস্পাতের স্লিপারে আয়ুষ্কাল 25-30 বছর ধরা হয়। এ ধরনের স্লিপার আকারে অগভীর ট্রাফ বা নালির মতো এগুলোকে উল্টো করে ব্যালাস্টের উপর বসানো হয়।

ব্যাখ্যা কংক্রিট সড়কে ডিজাইনকৃত পুরুত্বের মিশ্রণ স্থাপনের পর ভাইব্রেটর/টেম্পার ব্যবহার করে মিশ্রণকে দৃঢ়বন্ধ করা হয়। হস্তচালিত টেম্পারকে টেম্পার বিম বলা হয়। এর দৈর্ঘ্য প্লাবের প্রস্থ হতে 30cm বেশি, প্রস্থ 10cm এবং পুরুত্ব 25cm।

ব্যাখ্যা: রাস্তার সরল অংশ ও বৃত্তাকার বাঁকের মধ্যে পরিবর্তশীল ব্যাসার্ধের যে বাঁক ব্যবহৃত হয়, তাকে ক্রান্তি বাঁক বলে। ক্রান্তি বাঁকের ব্যাসার্ধ প্রারম্ভ বিন্দুতে অসীম এবং বৃত্তাকার বাঁকের সংযোগ বিন্দুতে বৃত্তাকার বাঁকের ব্যাসার্ধের সমান।

ব্যাখ্যা: সিল কোটঃ কোনো পুরাতন (নতুন বিটুমিন সড়কপৃষ্ঠের উপর চূড়ান্তভাবে তরল বিটুমিন ও বালি বা পাথর কুচি সহযোগে যে পাতলা স্তর স্থাপন করা হয়, তাকে সিল কোট বলে।। ট্যাক কোট: পূর্বে নির্মিত পাকা বা অপ্রবেশ্য সড়ক যেমন- বিটুমিন জাতীয় বা সিমেন্ট-কংক্রিট সড়কের উপর সারফেসিং করার পূর্বে বিটুমিনের যে পাতলা স্তর দেয়া হয়, তাকে ট্যাক কোট বলে। সাধারণত সিল কোট স্থাপনের ৭ দিন পর ট্যাক কোট স্থাপন করা হয়।

হ্যাখ্যা: বিভিন্ন প্রকার সড়কের জন্য IRC অনুমোদিত ক্যাম্বার প্রদানের পরিমাণ বিভিন্ন। যেমন- বিটুমিন্যাস সড়কের অনুমোদিত ক্যাম্বারের পরিমাণ।। 48 হতে 1:60। অর্থাৎ, প্রতি। ফুট ক্যাম্বারের জন্য 48 ফুট হতে 60 ফুট প্রস্থের রাস্তায়।