EC
Engineering Classroom
by Himalay Sen

Exams

Prepare for your next test with our collection of exam-based practice sets and question banks designed for effective assessment and revision.

Board Questions

Access past board exam questions organized by year and subject to help you understand patterns, improve preparation, and boost your exam performance.

MCQ
25041. জীবনী সাহিত্যের ধারা গড়ে ওঠে কাকে কেন্দ্র করে?
শ্রীচৈতন্যদেব
কাহ্নপা
বিদ্যাপতি
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
ব্যাখ্যা: শ্রীচৈতন্যদেব ও তার কতিপয় শিষ্যের জীবনকাহিনি অবলম্বনে জীবনী সাহিত্যের সৃষ্টি। তবে এর মধ্যে চৈতন্য জীবনীই প্রধান। তার মৃত্যু পরবর্তী জীবনী সাহিত্য সৃষ্টিতে প্রাচুর্য এসে বাংলা সাহিত্যে স্বাতন্ত্র্য এনেছে। তাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি জীবনী গ্রন্থ রচনা হয়েছিল। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণদাস কবিরাজের 'চৈতন্যচরিতামৃত'। এছাড়াও বৃন্দাবন দাসের 'চৈতন্যভাগবত', লোচনদাসের 'চৈতন্যমঙ্গল' এবং জয়ানন্দের 'চৈতন্যমঙ্গল' নামে জীবনী সাহিত্য রয়েছে।
25042. 'সোমত্ত' শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?
সোপান
সমর্থ
সোল্লাস
সওয়ার
ব্যাখ্যা: 'সোমত্ত' বিশেষণ পদ, যার অর্থ যৌবনপ্রাপ্ত। 'সোমত্ত' শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত শব্দ সমর্থ থেকে।
25043. কোন বানানটি শুদ্ধ?
মনোকষ্ট
মনঃকষ্ট
মণকষ্ট
মনকষ্ট
ব্যাখ্যা: শুদ্ধ বানান মনঃকষ্ট। মনঃকষ্ট সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ্য পদ; যার অর্থ মনের দুঃখ, মনোবেদনা। মনঃকষ্ট বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দ; যার সন্ধিবিচ্ছেদ- মনঃ + কষ্ট।
25044. 5x+8.5x+16.5x= 1 হলে, x এর মান কত?
-3
-2
-1
-1/2
ব্যাখ্যা: 5x +8.5x +16.5x= 1 =25.5x=1 =52.5x=50 =5x+2=5° ⇒x+2=0 x=-2
25045. তেভাগা আন্দোলনকেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
অক্টোপাস
কালো বরফ
ক্রীতদাসের হাসি
নাঢ়াই
ব্যাখ্যা: মোট উৎপন্ন ফসলের তেভাগ বা দুই-তৃতীয়াংশের দাবিতে সংগঠিত বর্গাচাষিদের আন্দোলনের নাম তেভাগা আন্দোলন। শওকত আলী রচিত 'নাঢ়াই' তেভাগা আন্দোলনকেন্দ্রিক উপন্যাস। গরিব কৃষকের ঘরে এক বালক সন্তানের অল্পবয়সী জননী ফুলমতি বিধবা হলে শুরু হয় বাঁচা মরার লড়াই। লোভ, লালসা, সম্পদ আর সম্ভ্রম লুণ্ঠনের নানা চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাকে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। এ লড়াই এক সময় গরিব কৃষকের লড়াই তেভাগার সঙ্গে একাকার হয়ে যায়। শামসুর রাহমান রচিত 'অক্টোপাস' উপন্যাসে দেশ ভাগের চিত্র ফুটে ওঠেছে। 'ক্রীতদাসের হাসি' (১৯৬২) তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের শাসন ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে রচিত শওকত ওসমানের উপন্যাস। মাহমুদুল হক রচিত 'কালো বরফ' উপন্যাসটি দেশভাগের পটভূমিতে রচিত। এ উপন্যাসে শেকড় হারাবার বেদনার বিমর্ষ চিত্র ফুটে ওঠেছে।
25046. কোন বানানটি শুদ্ধ?
পুরষ্কার
আবিষ্কার
সময়পোযোগী
স্বত্ব
ব্যাখ্যা: স্বত্ব (স্ব+ত্ব) সংস্কৃত শব্দ; যার অর্থ বিষয়সম্পত্তি, ব্যবসায় প্রভৃতিতে অধিকার বা মালিকানা। অন্যদিকে পুরষ্কার, আবিস্কার ও সময়পোযোগী বানানের শুদ্ধরূপ যথাক্রমে পুরস্কার, আবিষ্কার ও সময়োপযোগী।
25047. উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি?
শশব্যস্ত
কালচক্র
পরাণপাখি
বহুব্রীহি
ব্যাখ্যা: সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- শশকের ন্যায় ব্যস্ত শশব্যস্ত, কাজলের ন্যায় কালো = কাজলকালো, তুষারের ন্যায় শুভ্র তুষারশুভ্র। অন্যদিকে কাল রূপ চক্র = কালচক্র, পরান রূপ পাখি = পরানপাখি রূপক কর্মধারয় এবং বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি, বহুব্রীহি সমাস।
25048. চর্যাপদের টীকাকারের নাম কী?
মীননাথ
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
মুনিদত্ত
ব্যাখ্যা: মুনিদত্ত ছিলেন সংস্কৃত টীকাকার। তিনি চর্যাপদের চারটি পুঁথি লিখেন এবং চর্যাপদের মূল পদগুলো লিখে সেগুলো সমকালীন বাংলায় রূপান্তরিত করেন। প্রতিটি পদের টীকা ভাষ্য প্রদান করেন। তবে ১১নং পদটি ব্যাখ্যা করা হয়নি। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের আবিষ্কারক। মীননাথ নাথধর্মী বৌদ্ধদের আদি গুরু। প্রবোধচন্দ্র বাগচী বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য।
25049. 'গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা' পত্রিকাটি কোন স্থান থেকে প্রকাশিত?
ঢাকার পল্টন
নওগাঁর পতিসর
কুষ্টিয়ার কুমারখালী
ময়মনসিংহের ত্রিশাল
ব্যাখ্যা: গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' পত্রিকাটি হরিনাথ মজুমদার বা কাঙাল হরিনাথের সম্পাদনায় ১৮৬৩ সালের এপ্রিল মাসে অবিভক্ত বাংলার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হয়। প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও ১৮৬৫ সালে পাক্ষিক ও ১৮৭০ সাল থেকে সাপ্তাহিক পত্রিকা রূপে প্রকাশিত হতে থাকে।
25050. 'অভাব' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে কোন উপসর্গটি?
অকাজ
আবছায়া
আলুনি
নিখুঁত
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার। যথা: বাংলা (২১টি), তৎসম বা সংস্কৃত (২০টি) ও বিদেশি উপসর্গ। তবে আ, সু, বি, নি এ চারটি উপসর্গ বাংলা ও তৎসম উভয় উপসর্গেই রয়েছে। বাংলা 'আ' উপসর্গযোগে গঠিত 'আলুনি শব্দে 'আ' উপসর্গটি অভাব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এরূপ আকাঁড়া, আধোয়া, আচালা, আছাঁটা ইত্যাদি। অন্যদিকে অকাজ শব্দে 'অ' উপসর্গটি নিন্দিত অর্থে, আবছায়া শব্দে 'আব' উপসর্গটি 'অস্পষ্টতা' অর্থে ও নিখুঁত শব্দে 'নি' উপসর্গটি 'নাই/নেতি' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অকাজ, আবছায়া ও নিখুঁত-এ তিনটি শব্দই বাংলা উপসর্গযোগে গঠিত।
25052. 'ডিডি টেনে বের করতে হবে।'- কোন ধরনের বাচ্যের উদাহরণ?
কর্মবাচ্য
ভাববাচ্য
যৌগিক
কর্মকর্তৃবাচ্য
ব্যাখ্যা: যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। যেমন- ডিঙি টেনে বের করতে হবে। যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে। যেমন- মুবারক কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে। যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলে। যেমন- সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।
25053. বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন কে?
রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ
রাজশেখর বসু
হরিচরণ দে
অশোক মুখোপাধ্যায়
ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। তার সম্পাদিত অভিধান 'বঙ্গভাষাভিধান' ১৮১৭ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে রাজশেখর বসু 'চলন্তিকা', হরিচরণ দে 'নূতন বাঙ্গালা অভিধান' ও অশোক মুখোপাধ্যায় 'সমার্থশব্দকোষ' অভিধান সংকলন করেন।
25054. ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্বকে বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধানের নামই-
রসতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব
ক্রিয়ার কাল
ব্যাখ্যা: বাক্যতত্ত্ব বা অন্বয় (Syntax) কথাটি ব্যাকরণে বাক্যনির্মাণ প্রক্রিয়ার পরিভাষা। বাক্যে ভাষার ক্ষুদ্রতর উপাদানগুলো কীভাবে পাশাপাশি সজ্জিত হয়, বাক্যতত্ত্ব মূলত তারই নিয়মের সমষ্টি। নির্মাণ ও পদনির্মাণের কাজ ব্যাকরণের যে অংশে হয় তার নাম রূপতত্ত্ব।
25055. 'কুসীদজীবী' বলতে কাদের বুঝায়?
চারণকবি
সাপুড়ে
সুদখোর
কৃষিজীবী
ব্যাখ্যা: কুসীদজীবী (কুসীদ জীব+ ইন) সংস্কৃত শব্দ; যার দ্বারা বোঝানো হয়- সুদে টাকা ধার দেয়া যার পেশা। অর্থাৎ 'কুসীদজীবী' বলতে সুদখোরকে বুঝায়।
25056. অপিনিহিতির উদাহরণ কোনটি?
জন্ম > জন্ম
আজি > আইজ
ডেস্ক >ডেসক
অলাবু > লাবু> লাউ
ব্যাখ্যা: পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ- কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। যেমন- আজি > আইজ, সাধু > সাউধ, সত্য > সইত্য। শব্দমধ্যস্থ দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাড করার প্রক্রিয়াকে সমীভবন বলে। যেমন জন্ম > জন্ম, কাঁদনা > কান্না। শব্দের মধ্যে দুটো ব্যঞ্জনের পরস্পর স্থান পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমন- ডেস্ক> ডেক্স, পিশাচ > পিচাশ। দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ। যেমন— আলাবু > লাবু > লাউ, সুবর্ণ > স্বর্ণ, আজি > আজ।
25057. The idiom 'put up with' means-
stay together
tolerate
keep trust
protect
ব্যাখ্যা: Hints: "Put up with' phraseটি দ্বারা সহ্য করা বোঝায়।
25058. . Despite being a brilliant scientist, he does not seem to (get his ideas across).
make his ideas understood
get his ideas down pat
summarise his ideas
put together his ideas
ব্যাখ্যা: Hints: Get something across to somebody অর্থ- কাউকে কিছু বোঝাতে পারা অর্থাৎ make something understood
25059. 'বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন'- এই পরোক্ষ উক্তির প্রত্যক্ষরূপ হবে:
বাবা ছেলেকে বললেন, বাবা তুমি দীর্ঘজীবী হও
বাবা ছেলেকে বললেন যে, তোমার দীর্ঘায়ু হোক
বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও'
বাবা ছেলেকে বললেন যে, আমি তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি
ব্যাখ্যা: কোনো কথকের বাক্ কর্মের নামই উক্তি। উক্তি দুই প্রকার। যথা: প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তিতে উক্তিটি প্রার্থনাসূচক বাক্যে থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়াপদটি উক্তির অর্থ অনুযায়ী 'প্রার্থনা করল', 'কামনা করল' প্রভৃতি হয়। যেমন প্রত্যক্ষ উক্তি বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও।' পরোক্ষ উক্তি- বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন। প্রত্যক্ষ উক্তি- সফিক বলল, 'সৃষ্টিকর্তা তোমাকে দীর্ঘজীবী করুক।' পরোক্ষ উক্তি সফিক সৃষ্টিকর্তার কাছে তার দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করল।
25060. নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে কী বলে?
যৌগিক ধ্বনি
অক্ষর
বর্ণ
মৌলিক স্বরধ্বনি
ব্যাখ্যা: নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে অক্ষর বলে। যেমন 'বন্ধন' শব্দে বন্ ধন্-এ দুটো অক্ষর। পাশাপাশি দুটো স্বরধ্বনি এক প্রয়াসে ও দ্রুত উচ্চারিত হয়ে যদি একটি যুক্তধ্বনিতে রূপ নেয়, তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। যেমন অ+ই=ঐ, অ+উ= ঐ। ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ। যেমন- অ, আ, ক, খ। যে স্বরধ্বনিকে ভেঙে উচ্চারণ করা যায় না তথা বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। যেমন- অ, আ, ই, উ।