EC
Engineering Classroom
by Himalay Sen

Exams

Prepare for your next test with our collection of exam-based practice sets and question banks designed for effective assessment and revision.

সালের প্রশ্ন

Access past board exam questions organized by year and subject to help you understand patterns, improve preparation, and boost your exam performance.

MCQ
17721. সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো-
গণতন্ত্র
বিচার ব্যবস্থা
সংবিধান
আইনের শাসন
ব্যাখ্যা: যে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, জনগণের জীবন-মালের নিরাপত্তা বজায় থাকে, সমাজের সকল মানুষ সমান আইনগত ও বিচারিক সুবিধা পেয়ে থাকে এমন সমাজকে সভ্য সমাজ বলে। সভ্য সমাজের উপর্যুক্ত বিষয়গুলো সমাজে বাস্তবায়ন হয় আইনের শাসনের মাধ্যমে। যথার্থ আইনের শাসন গণতান্ত্রিক সরকারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
17722. 'বঙ্গভঙ্গ' কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
লর্ড কার্জন
লর্ড ওয়াভেল
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
লর্ড লিনলিথগো
ব্যাখ্যা: ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলা ভাগ করেন। এ বিভক্তির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাকে 'পূর্ব বাংলা ও আসাম' এবং 'পশ্চিম বাংলা' নামে দুটি প্রদেশে পরিণত করা হয়। পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, আসাম, জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা ও মালদহ। পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয়েছিল পশ্চিম বাংলা প্রদেশ। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সময় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
17723. বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ-
২ কোটি ৪০ লক্ষ একর
২ কোটি ৫০ লক্ষ একর
২ কোটি ২৫ লক্ষ একর
২ কোটি ২১ লক্ষ একর
ব্যাখ্যা: [Note : বিবিএস প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫.৭৭ লক্ষ হেক্টর অথবা ২ কোটি ১১ লক্ষ একর। দেশের মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪.৪৮ লক্ষ হেক্টর।]
17724. বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানের কোন তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
চতুর্থ তফসিল
পঞ্চম তফসিল
ষষ্ঠ তফসিল
সপ্তম তফসিল
ব্যাখ্যা: ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রবর্তিত বাংলাদেশের সংবিধানের সমাপ্তি হয়েছে ৭টি তফসিলের মাধ্যমে। তন্মধ্যে পঞ্চম তফসিলে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী আইন, ২০১১-এর ৫৫ ধারা বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চতুর্থ তফসিলে ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। ষষ্ঠ তফসিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত এবং সপ্তম তফসিলে সংযোজিত হয়েছে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
17725. বিপরীত বৈষম্য'-এর নীতিটি প্রয়োগ করা হয়-
নারীদের ক্ষেত্রে
সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে
ব্যাখ্যা: মানুষের মধ্যে নানা বৈশিষ্ট্যগত বিচারে বৈষম্য নির্ণয় করা হয়। এ বৈষম্যের কয়েকটি মৌলিক দিক রয়েছে; যেমন- নরগোষ্ঠীগত, লিঙ্গগত, আর্থ সামাজিক, ধর্মীয়। এখানে মূলত বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে নিম্নবর্ণের মানুষ, নারী জাতি, আর্থ-সামাজিকভাবে দুর্বল জাতিগোষ্ঠী এবং অপ্রধান ধর্ম পালনকারীরা। কিন্তু বিপরীত বৈষম্য মূলত বৈষম্যের উল্টা ধারণা, যেখানে সংখ্যাগুরুরা, সংখ্যালঘুদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। এর প্রশাখায় পুরুষরা নারীদের দ্বারা, শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বারা, উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের দ্বারা এবং সাধারণ মানুষ কোটাধারীদের দ্বারা বিপরীত বৈষম্যের শিকার হয়।
17726. Who worte the poem 'The Good-Morrow'?
George Herbert
Andrew Marvell
John Donne
Henry Vaughan
ব্যাখ্যা: 'The Good-Morrow' কবিতাটির কবি হলেন poet of love নামে প্রসিদ্ধ John Donne। তার আরও কিছু কবিতার নাম হলো The Sunne Rising, The Canonization, The Ecstacy, The Dream ইত্যাদি।
17727. অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে-
দুর্নীতি দূর হয়
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠিত হয়
ব্যাখ্যা: সুশাসনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করতে যে সকল বাধা-বিপত্তি যেমন-কালো বাজারি, মজুদদারী, একচেটিয়া কারবার প্রভৃতি দূর হয়। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়, যারা তাদের উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগের সুযোগ পায়। ফলে দেশের সার্বিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতি দূর হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে একথা বলা যাবে না করণ এ দুটি বিষয় অনেক ব্যাপক। দুর্নীতি আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সাথে জড়িত নয়।
17728. জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো
দারিদ্র বিমোচন
মৌলিক অধিকার রক্ষা
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
ঘনারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
ব্যাখ্যা: ১৯৮০-এর দশকে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে বিশেষ করে সাব-সহারান দেশগুলোতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা কার্যক্রম শুরু করে। এতে ঐসব দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক কিছু সমস্যার উদ্ভব ঘটে। দাতা সংস্থার পরামর্শে উদ্ভূত সমস্যা মোকাবিলায় স্ট্রাকচারাল অ্যাডজ্যাস্টমেন্ট নীতি অনুসরণ করলেও তা মানুষের তেমন কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে এজেন্ডাভুক্ত করে। জাতিসংঘের অভিমত অনুযায়ী সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো 'মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন'। জাতিসংঘ সুশাসনের ৮টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
17729. প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
অশোক মৌর্য
চদ্রগুপ্ত মৌর্য
সমুদ্র গুপ্ত
এর কেনটি নয়
ব্যাখ্যা: প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। মৌর্য বংশের রাজত্বকাল ছিল ৩২৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকাল ছিল ৩২৪-৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচীন ভারতে সর্বভারতীয় ঐক্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সম্রাট অশোক মৌর্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় শাসক ছিলেন। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গুপ্তশাসনের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন সমুদ্র গুপ্ত। তিনি ভারতের নেপোলিয়ন নামে পরিচিত।
17730. ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসেছিলেন-
পর্তুগিজরা
ইংরেজরা
ওলন্দাজরা
ফরাসিরা
ব্যাখ্যা: ১৪৯৮ সালের ২৭ মে পর্তুগিজ দুঃসাহসিক নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা- অন্তরীপ অতিক্রম করে তিনটি বাণিজ্য তরী নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে কালিকট বন্দরে আগমন করেন। তারা ১৫১৬ সালে প্রথম বাংলায় আসে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ইউরোপীয় বণিকরা ১৫৩৮ সালে চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়ে শুল্ক ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতিও লাভ করে। অর্থাৎ বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম আগমন করে। ওলন্দাজ বা ডাচরা বাংলায় আসে ১৬৩০ সালে। ইংরেজরা আসে ১৬৫৮ সালে এবং সবশেষে ১৬৭৪ সালে বাংলায় আগমন করে ফরাসিরা।
17731. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
নিজের অধিকার ভোগ করা
সভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
নিয়মিত কর প্রদান করা
ব্যাখ্যা: সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন, সংবিধান মান্য করা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি কাজ সম্পাদন, জাতীয় সম্পত্তি ও শৃংখলা রক্ষা করা প্রভৃতি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একজন নাগরিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার পরিচালনায় সাহায্য করে থাকে, যা যে কোনো দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জরুরি। নিয়মিত কর প্রদান করার মাধ্যমে একজন নাগরিক সরকার পরিচালনায় সাহায্য করে থাকে। নিজের অধিকার ভোগ একান্তই নাগরিকের ব্যাপার, যার সাথে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো সম্পর্ক নেই। সৎভাবে ব্যবসা- বাণিজ্য পরিচালনা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
17732. মূল্যবোধের চালিকা শক্তি হলো-
উন্নয়ন
গণতন্ত্র
সংস্কৃতি
সুশাসন
ব্যাখ্যা: সমাজজীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচার-ব্যবহার এবং কর্মকাণ্ডের সবকিছু পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় মূল্যবোধ দ্বারা। মানুষ হিসেবে যে সকল কর্মকাণ্ড আমরা করে থাকি তা সংস্কৃতি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত। সমাজভেদে মানুষের আচার- আচরণে যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা মূলত সংস্কৃতির পার্থক্যের জন্যই। মূল্যবোধ হলো একটি কাঙ্ক্ষিত উপাদান যা ব্যক্তি সমাজের নিকট থেকে এবং সমাজ ব্যক্তির নিকট থেকে প্রত্যাশা করে। আর সংস্কৃতিই যেহেতু মানুষকে তার কাঙ্ক্ষিত আচরণটি শেখায়, তাই স্বাভাবিকভাবেই সংস্কৃতি মূল্যবোধের চালিকা শক্তি।
17733. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ কখন বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন?
১৪৯৮-১৫১৬ খ্রিস্টাব্দ
১৪৯৮-১৫১৭ খ্রিস্টাব্দ
১৪৯৮-১৫১৮ খ্রিস্টাব্দ
১৪৯৮-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: মধ্যযুগে বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি, বাংলার আকবর খ্যাত আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ১৪৯৩ সালে বাংলার মসনদে অধিষ্ঠিত হন। এর পূর্বে তিনি হাবসী শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হাবসী শাসনামলে তিনি বাংলায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দূর করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। পশ্চিম সীমান্তে লোদী সম্রাট সিকান্দারের সাথে শান্তি স্থাপিত হলে উত্তর-বিহার বাংলার শাসনাধীন হয়। পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি ১৪৯৮ সালে রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষায় কামতাপুর রাজ্যে অভিযান চালিয়ে সফল হন। রাজধানী হাজো দখল করে নেন। ফলে হাজো পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চল বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ১৪৯৩ সালে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও তিনি বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত। তবে তার শাসনকালের ব্যাপ্তি ছিল ১৪৯৩-১৫১৯।
17734. বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
ফরিদপুর
রংপুর
জামালপুর
শেরপুর
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। বিবিএস কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২০-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে ফরিদপুর জেলায় পাট উৎপাদিত হয়েছে ৮,৯১,৯৩৮ বেল। জামালপুরে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ২,২৫,৪৩৯ বেল। রংপুর পাট উৎপাদিত হয়েছে ১,১৮,৫৬৭ বেল এবং শেরপুরে পাট উৎপাদিত হয়েছে ১৩,২৮৪ বেল। উল্লেখ্য, ১ বেল = ১৮২.২৫ কেজি।
17735. 'গারো উপজাতি' কোন জেলায় বাস করে?
পার্বত্য চট্টগ্রাম
সিলেট
ময়মনসিংহ
টাঙ্গাইল
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের অন্যতম উপজাতি গারো। ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় এদের মূল ঘাঁটি। তাছাড়া শেরপুর, নেত্রকোনা, রংপুর, জামালপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায়ও গারোরা বাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় চাকমা, মারমা, মুরং, ত্রিপুরাসহ মোট ১১টি উপজাতি বাস করে।
17736. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে কোন দেশ বাংলাদেশের পক্ষে 'ভেটো' প্রদান করেছিল?
যুক্তরাজ্য
ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্র
সোভিয়েত ইউনিয়ন
ব্যাখ্যা: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যখন বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ এইচ বুশ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিনিধি এ প্রস্তাবকে 'একতরফা' বলে অভিহিত করে প্রস্তাবটিতে ভেটো প্রদান করে। পরদিন ৫ ডিসেম্বর আরো আটটি দেশের পক্ষ থেকে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে পুনরায় ভেটো প্রদান করে। এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে 'ভেটো' প্রদান করে।
17737. ২০১৮ সালে বাংলাদেশের Per capita GDP (nominal) কত?
$ ১,৭৫০ মার্কিন ডলার
$ ১,৭৫১ মার্কিন ডলার
$ ১,৭৫২ মার্কিন ডলার
$ ১,৭৫৩ মার্কিন ডলার
ব্যাখ্যা: [Note: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুসারে, বাংলাদেশের Per capita GNI (সাময়িক) ছিল ১,৭৫২ মার্কিন ডলার এবং Per capita GDP ১,৬৭৭ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২০-২১ অবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ২৫৯১ মার্কিন ডলার এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৯৪% ।
17738. মূল্যবোধ হলো-
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
ব্যাখ্যা: মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এর আদর্শে মানুষের আচার- ব্যবহার, রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এই মানদণ্ডে সমাজে আচার-আচরণের ভালো- মন্দ দিকগুলোর বিচার করা হয়ে থাকে।
17739. তথ্য পাওয়া মানুষের কী ধরনের অধিকার?
রাজনৈতিক
অর্থনৈতিক
মৌলিক
সামাজিক
ব্যাখ্যা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতাকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং তথ্য পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত হলো ভোটদান, নির্বাচনে অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক দল গঠন প্রভৃতি। জীবনধারণ, জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা, মতামত প্রকাশ, ধর্মচর্চা, সম্পত্তি ভোগ প্রভৃতি নাগরিকেরা সামাজিক অধিকার হিসেবে এবং কর্ম, ন্যায্য মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি অর্থনৈতিক অধিকার হিসেবে ভোগ করে।
17740. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
সিলেটের বনভূমি
পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি
ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমি
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের বনভূমিকে প্রধানত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি; ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি ও গরান বা স্রোতজ বনভূমি (সুন্দরবন) এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমির অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন প্রায় ৮৭৫ বর্গ কিমি। শাল জাতীয় এক ধরনের গজারী এ বনভূমির প্রধান বৃক্ষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গর্জন, জারুল, শিমুল, গামার ইত্যাদি। খুলনা বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গেওয়া, ধুন্দল, কেওড়া ইত্যাদি।