EC
Engineering Classroom
by Himalay Sen

Exams

Prepare for your next test with our collection of exam-based practice sets and question banks designed for effective assessment and revision.

সালের প্রশ্ন

Access past board exam questions organized by year and subject to help you understand patterns, improve preparation, and boost your exam performance.

সাধারণ জ্ঞান MCQ
261. 'মাৎস্যন্যায়' বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
৫ম-৬ষ্ঠ শতক
৬ষ্ঠ-৭ম শতক
৭ম-৮ম শতক
৮ম-৯ম শতক
ব্যাখ্যা: পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট মাছগুলোকে খেয়ে ফেলার পরিস্থিতিকে মাৎস্যন্যায় বলে ৭ম-৮ম শতকে বাংলার সবল অধিপতিরা ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে গ্রাস করেছিল। পাল তাম্রশাসনে শশাঙ্কের পর বাংলায় 'মাৎস্যন্যায়' বা অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছিল। 'মাৎস্যন্যায়' মূলত ৬৫০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ তথা ৭ম-৮ম শতককে নির্দেশ করে।
262. Inclusive Development Index (IDI)-এর ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান কত?
প্রথম স্থান
দ্বিতীয় স্থান
তৃতীয় স্থান
চতুর্থ স্থান
ব্যাখ্যা: বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (World Economic Forum) কর্তৃক প্রকাশিত Inclusive Development Index (IDI) 2018 সূচকের উদীয়মান অর্থনীতি (Emerging Economics) বিভাগে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে নেপাল (বিশ্বে ২২তম), শ্রীলংকা তৃতীয় (বিশ্বে ৪০তম), পাকিস্তান চতুর্থ (বিশ্বে ৪৭তম) ও ভারত পঞ্চম (বিশ্বে ৬২তম)।
263. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
সিলেটের বনভূমি
পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি
ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমি
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের বনভূমিকে প্রধানত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি; ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি ও গরান বা স্রোতজ বনভূমি (সুন্দরবন) এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমির অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন প্রায় ৮৭৫ বর্গ কিমি। শাল জাতীয় এক ধরনের গজারী এ বনভূমির প্রধান বৃক্ষ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গর্জন, জারুল, শিমুল, গামার ইত্যাদি। খুলনা বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমির প্রধান বৃক্ষ গেওয়া, ধুন্দল, কেওড়া ইত্যাদি।
264. বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
ফরিদপুর
রংপুর
জামালপুর
শেরপুর
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। বিবিএস কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২০-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে ফরিদপুর জেলায় পাট উৎপাদিত হয়েছে ৮,৯১,৯৩৮ বেল। জামালপুরে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ২,২৫,৪৩৯ বেল। রংপুর পাট উৎপাদিত হয়েছে ১,১৮,৫৬৭ বেল এবং শেরপুরে পাট উৎপাদিত হয়েছে ১৩,২৮৪ বেল। উল্লেখ্য, ১ বেল = ১৮২.২৫ কেজি।
265. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
নওয়াব আব্দুল লতিফ
স্যার সৈয়দ আহমেদ
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
খাজা নাজিমউদ্দীন
ব্যাখ্যা: ঢাকার নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯১৫ সালে সলিমুল্লাহর মৃত্যুর পর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী শক্ত হাতে এ উদ্যোগের হাল ধরেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নাথান কমিশন গঠন করা হয় ২৭ মে ১৯১২।
266. ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-
ব্রিটিশ আমলে
সুলতানি আমলে
মুঘল আমলে
স্বাধীন নবাবী আমলে
ব্যাখ্যা: সুলতানি আমলে ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয় এবং এটি একটি নগর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তবে মুঘল আমলে প্রাদেশিক রাজধানীর মর্যাদা পাওয়ার পর এটি প্রসিদ্ধি লাভ করে। উল্লেখ্য, সুবাদার ইসলাম খান চিশতী সর্বপ্রথম ঢাকাকে বাংলার রাজধানীতে রূপান্তর করেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ঢাকা পাঁচবার (১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫, ১৯৪৭ ও ১৯৭১) রাজধানী হয়েছে।
267. কাগমারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়-
রোজ গার্ডেনে
সিরাজগঞ্জে
সন্তোষে
সুনামগঞ্জে
ব্যাখ্যা: টাঙ্গাইল জেলার কাগমারির সন্তোষে 'কাগমারি সম্মেলন' অনুষ্ঠিত হয় ৭-১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭। এই সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি স্বায়ত্তশাসনের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরেছিলেন।
268. লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কবে যোগদান করেন?
২০-২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
ব্যাখ্যা: ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু যোগদান করেন ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে ৩২তম সদস্য হিসেবে সদস্যপদ লাভ করে।
269. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে কোন দেশ বাংলাদেশের পক্ষে 'ভেটো' প্রদান করেছিল?
যুক্তরাজ্য
ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্র
সোভিয়েত ইউনিয়ন
ব্যাখ্যা: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যখন বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ এইচ বুশ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিনিধি এ প্রস্তাবকে 'একতরফা' বলে অভিহিত করে প্রস্তাবটিতে ভেটো প্রদান করে। পরদিন ৫ ডিসেম্বর আরো আটটি দেশের পক্ষ থেকে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাতে পুনরায় ভেটো প্রদান করে। এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে 'ভেটো' প্রদান করে।
270. অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়?
অশোক
শশাঙ্ক
মেগদা
ধর্মপাল
ব্যাখ্যা: ৫ম-৬ষ্ঠ শতক ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্ককে অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা বলা হয়। শশাঙ্কের অপর নাম নরেন্দ্রগুপ্ত। কর্ণসুবর্ণ ছিল তার রাজধানী। বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন খ্যাত অশোক ছিলেন মৌর্য বংশের সম্রাট। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। ধর্মপাল ছিলেন পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা। তিনি নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহারের প্রতিষ্ঠাতা।
271. Alliance যে দেশভিত্তিক গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলোর সংগঠন-
যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাষ্ট্রের
কানাডার
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ব্যাখ্যা: Alliance for Bangladesh Worker's Safety ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিখ্যাত গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলো নিয়ে গঠিত সংগঠন অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ২৮টি। প্রতিষ্ঠাকালীন এ সংস্থাটির বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার মেয়াদ ছিল ৫ বছর। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক ব্রান্ডভিত্তিক সংগঠন Accord।
272. Almond ও Powel চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে বিভক্ত করেছেন-
৩ ভাগে
৪ ভাগে
৫ ভাগে
৬ ভাগে
ব্যাখ্যা: যে গোষ্ঠীর সদস্যগণ একই মনোভাব ও স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং স্বার্থের ভিত্তিতেই তারা পরস্পরের সাথে আবদ্ধ হয় তাকে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলে। Almond ও Powell চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে চার ভাগে ভাগ করেছেন। যথা-1. Institutional Interest Groups 2. The Associational Interest Groups 3. Anomic Interest Groups 4. Non-Associational Interest Groups.
273. ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসেছিলেন-
পর্তুগিজরা
ইংরেজরা
ওলন্দাজরা
ফরাসিরা
ব্যাখ্যা: ১৪৯৮ সালের ২৭ মে পর্তুগিজ দুঃসাহসিক নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা- অন্তরীপ অতিক্রম করে তিনটি বাণিজ্য তরী নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে কালিকট বন্দরে আগমন করেন। তারা ১৫১৬ সালে প্রথম বাংলায় আসে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ইউরোপীয় বণিকরা ১৫৩৮ সালে চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়ে শুল্ক ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতিও লাভ করে। অর্থাৎ বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম আগমন করে। ওলন্দাজ বা ডাচরা বাংলায় আসে ১৬৩০ সালে। ইংরেজরা আসে ১৬৫৮ সালে এবং সবশেষে ১৬৭৪ সালে বাংলায় আগমন করে ফরাসিরা।
274. বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহণ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহঘ
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
ব্যাখ্যা: বাংলার আকবর খ্যাত হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও শ্রেষ্ঠ সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলকে মুসলিম শাসনের ইতিহাসে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়। তার শাসনামলের ব্যাপ্তি ছিল ১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত। তিনি বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার আমলে গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়। ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ ছিলেন সমগ্র বাংলার প্রথম মুসলমান সুলতান এবং গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ছিলেন ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান।
275. বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিস্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
হেমন্ত সেন
বল্লাল সেন
কেশব সেন
লক্ষ্মণ সেন
ব্যাখ্যা: ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর তার দুইপুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেছিলেন। দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলায় তাদের রাজত্ব ছিল। তাদের রাজত্বকাল ছিল প্রায় ২৫ বছর। সম্ভবত বিশ্বরূপ সেনই জ্যেষ্ঠ ছিলেন এবং প্রথমে রাজত্ব করেন। আনুমানিক ১২৩০ খ্রিস্টাব্দে কেশব সেনের মৃত্যুর পর কে সিংহাসনে বসেছিলেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তাই বলা যায়, বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিস্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা ছিলেন কেশব সেন।
276. বঙ্গভঙ্গ রদ কে ঘোষণা করেন?
লর্ড কার্জন
রাজা পঞ্চম জর্জ
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
লর্ড ওয়াভেল
ব্যাখ্যা: ভারতের বড়লার্ট লর্ড কার্জনের এক ঘোষণার মাধ্যমে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর 'বঙ্গভঙ্গ' হয়। পরবর্তীতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের তীব্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১২ ডিসেম্বর ১৯১১ লর্ড হার্ডিঞ্জের সুপারিশে রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা কার্যকর হয় ১৯১২ সালের ২০ জানুয়ারি।
277. ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
খাজা নাজিমউদ্দীন
নুরুল আমিন
লিয়াকত আলী খান
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
ব্যাখ্যা: ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দীন ১৭.১০.১৯৫১-১৭.০৪.১৯৫৩)। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান (১৫.০৮.১৯৪৭-১৬.১০.১৯৫১)। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের সময় *পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন (৭-২০ ডিসেম্বর ১৯৭১) এবং ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী)
278. বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
পুণ্ড্র
তাম্রলিপ্তি
গৌড়
হরিকেল
ব্যাখ্যা: 'পুণ্ড্র' বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ। পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থানগড়) ছিল পুত্র রাজ্যের রাজধানী। এ জনপদ গড়ে উঠেছিল বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলাকে কেন্দ্র করে। প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল। প্রাচীরবেষ্টিত এ নগরীর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
279. 'বঙ্গভঙ্গ' কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
লর্ড কার্জন
লর্ড ওয়াভেল
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
লর্ড লিনলিথগো
ব্যাখ্যা: ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলা ভাগ করেন। এ বিভক্তির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাকে 'পূর্ব বাংলা ও আসাম' এবং 'পশ্চিম বাংলা' নামে দুটি প্রদেশে পরিণত করা হয়। পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, আসাম, জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা ও মালদহ। পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয়েছিল পশ্চিম বাংলা প্রদেশ। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সময় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
280. ঐতিহাসিক 'ছয় দফা দাবিতে' যে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না-
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবস্থা
বিচার ব্যবস্থা
ব্যাখ্যা: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফার প্রথম দফা ছিল প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন। ছয় দফার বাকি দফাগুলো হলো: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা; মুদ্রা ও অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা; রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা; বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা ও আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। বিচার ব্যবস্থা ঐতিহাসিক 'ছয় দফা দাবিতে' অন্তর্ভুক্ত ছিল না।