11. 'চর্যাপদে'র প্রকৃত নাম কী?
ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যাঃ চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। তারই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরানো বাঙলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি বৌদ্ধগান ও দোহা বা চর্যাপদ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে।