Image
1.0.0
MCQ
501. বার্ষিক ১০% মুনাফায় ৮০০ টাকার ২ বছরের চক্রবৃদ্ধি মূলধন কত?
৯৪০ টাকা
৯৬০ টাকা
৯৬৮ টাকা
৯৮০ টাকা
আমরা জানি, চক্রবৃদ্ধি সুদাসল C = P (১ + r)n =৮০০(১+10/১০০)2 = ৮০০×১১/১০×১১/১০ = ৯৬৮ টাকা
502. কোন বানানটি শুদ্ধ?
মনোকষ্ট
মনঃকষ্ট
মণকষ্ট
মনকষ্ট
শুদ্ধ বানান মনঃকষ্ট। মনঃকষ্ট সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ্য পদ; যার অর্থ মনের দুঃখ, মনোবেদনা। মনঃকষ্ট বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দ; যার সন্ধিবিচ্ছেদ- মনঃ + কষ্ট।
503. ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার একটি দল থেকে একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা নিয়ে কত প্রকারে একটি কমিটি গঠন করা যাবে?
১০
১৫
২৫
৩০
504. পাঁচজন ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। তারা হলেন ক, খ, গ, ঘ, ঙ। ক হলেন গ এর মা, গ আবার ও এর স্ত্রী। ঘ হলেন ক এর ভাই এবং খ হলেন ক এর স্বামী। ৬ এর সঙ্গে খ এর সম্পর্ক কী?
শ্বশুর
পিতা
চাচা
ভাই
505. x+2(1/3)+2(2/3)= 0 হলে, x³ + 6 এর মান কত?
4x
6x
4
8
506. a + b = 7 এবং ab = 12 হলে, 1/a^2 + 1/b^2 এর মান কত?
3/25
25/144
31/144
11/49
507. বাংলা সাহিত্যে 'কালকূট' নামে পরিচিত কোন লেখক?
সমরেশ মজুমদার
শওকত ওসমান
সমরেশ বসু
আলাউদ্দিন আল আজাদ
সমরেশ বসুর ছদ্মনাম 'কালকূট' ও 'ভ্রমর'। শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান। সমরেশ মজুমদার বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক। তার কোনো ছদ্মনাম নেই। আর আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, কবি ও প্রাবন্ধিক। 'নরকে লাল গোলাপ', 'ফেরারী ডায়েরী' ' তেইশ নম্বর তৈলচিত্র' তার বিখ্যাত রচনা।
508. 'কুসীদজীবী' বলতে কাদের বুঝায়?
চারণকবি
সাপুড়ে
সুদখোর
কৃষিজীবী
কুসীদজীবী (কুসীদ জীব+ ইন) সংস্কৃত শব্দ; যার দ্বারা বোঝানো হয়- সুদে টাকা ধার দেয়া যার পেশা। অর্থাৎ 'কুসীদজীবী' বলতে সুদখোরকে বুঝায়।
509. ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্বকে বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধানের নামই-
রসতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব
ক্রিয়ার কাল
বাক্যতত্ত্ব বা অন্বয় (Syntax) কথাটি ব্যাকরণে বাক্যনির্মাণ প্রক্রিয়ার পরিভাষা। বাক্যে ভাষার ক্ষুদ্রতর উপাদানগুলো কীভাবে পাশাপাশি সজ্জিত হয়, বাক্যতত্ত্ব মূলত তারই নিয়মের সমষ্টি। নির্মাণ ও পদনির্মাণের কাজ ব্যাকরণের যে অংশে হয় তার নাম রূপতত্ত্ব।
510. একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৫% বৃদ্ধি করলে তার ক্ষেত্রফল শতকরা কত বৃদ্ধি পাবে?
৫%
১০%
২০%
২৫%
ধরি, আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য = x প্রস্থ = y ক্ষেত্রফল = xy দৈর্ঘ্য 5% বাড়ালে দৈর্ঘ্য হবে =x+5x/100 = 21x /20 5% ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি =21xy /20 ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি =(21xy /20-xy)= xy/ 20 শতকরা ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি = xy/20/xy × 100%=5%
511. চিনির মূল্য ১০% কমে যাওয়ায় চিনির ব্যবহার শতকরা কত ভাগ বাড়ালে চিনি ১৭২ ঘ বাবদ খরচ একই থাকবে?
৮%
৮*১/৩%
১০%
১১*১/৯%
১০% কমে, পূর্বমূল্য ১০০ টাকা হলে, বর্তমান মূল্য (১০০ – ১০) = ৯০ টাকা বর্তমান মূল্য ৯০ টাকা হলে পূর্বমূল্য ১০০ টাকা ১০০/ ৯০ ১০০×১০০/ ৯০ = ১১১*১/৯ টাকা :: চিনির ব্যবহার বাড়ানো যাবে = (১১১*১/৯-১০০)% = ১১*১/৯%
512. চারণকবি হিসেবে বিখ্যাত কে?
আলাওল
চন্দ্রাবতী
মুকুন্দদাস
মুক্তারাম চক্রবর্তী
চারণ কবি মুকুন্দদাস-এর প্রকৃত নাম যজ্ঞেশ্বর দে এবং ডাক নাম যজ্ঞা। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে, দেশের পরাধীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার প্রেরণা জোগাতে যেসব কবিরা গান গেয়ে ও যাত্রাভিনয় করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাদেরকেই চারণ কবি বলা হয়। 'চারণ' শব্দের অর্থ স্তুতি পাঠক। বাংলা সাহিত্যে চারণ কবি হিসেবে মুকুন্দদাসের নাম সবার আগে আসে। এছাড়া বিজয় সরকার ও গৌতম মজুমদার নামে দুজন চারণ কবির নাম পাওয়া যায়।
513. ০.১২+০.০০১২+০.০০০০১২ + ........ ধারাটির অসীম পদ পর্যন্ত যোগফল-
৪/ ৩৩
৪/ ৯৯
১১২/৯৯
১৪/৯৯
১ম পদ = ০.১২ সাধারণ অনুপাত r= ০.০০১২ /০.১২ -= ০.০১<১ r<১ হলে সমষ্টি = a/ ১-r= ০.১২/ ১-০.০১=.১২/.৯৯= ১২/৯৯= ৪/ ৩৩
514. ব্যঞ্জন ধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে-
রেফ
হসন্ত
কার
ফলা
ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্নকে বলে ব্যঞ্জনবর্ণ। ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে ফলা। ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা চিহ্ন সাতটি। যথা: ১. য-ফলা (1) খ্যাতি ২. ব-ফলা (৫)-পক্ক ৩. ম-ফলা (ন)- পদ্ম ৪. র-ফলা (এ) প্রমাণ ৫. ন-ফলা (,) যত্ন ৬. ণ-ফলা (ণ)- পূর্বাহ্ণ ৭. ল-ফলা ()-অম্ল। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় কার। স্বরবর্ণের কার চিহ্ন দশটি। যথা: ১. আ-কার (1) ২.ই- কার (1) ৩. ঈ-কার (ী) ৪. উ-কার () ৫. উ-কার () ৬. ঋ-কার () ৭. এ-কার (১) ৮. ঐ-কার (১) ৯. ও-কার (াে) ১০. ঔ-কার (ৗে)।
515. কোন বানানটি শুদ্ধ?
পুরষ্কার
আবিষ্কার
সময়পোযোগী
স্বত্ব
স্বত্ব (স্ব+ত্ব) সংস্কৃত শব্দ; যার অর্থ বিষয়সম্পত্তি, ব্যবসায় প্রভৃতিতে অধিকার বা মালিকানা। অন্যদিকে পুরষ্কার, আবিস্কার ও সময়পোযোগী বানানের শুদ্ধরূপ যথাক্রমে পুরস্কার, আবিষ্কার ও সময়োপযোগী।
516. ১ থেকে ৪৪০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর একটি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নেওয়া হলে সংখ্যাটি বর্গসংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা-
১/ ২২
১/৬৪
১/৬০
২ /৬৫
(২০)2 = ৪০০, (২১)2 = ৪৪১ >৪৪০ ১ থেকে ৪৪০ এর মধ্যে মোট সংখ্যা = ৪৪০টি 880 বর্গ সংখ্যা = ২০টি .:. বর্গ সংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা = ২০/৪৪০= ১/২২
517. 'এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো'- এ বাক্য কোন ধরনের?
অনুজ্ঞাবাচক
নির্দেশাত্মক
বিস্ময়বোধক
প্রশ্নবোধক
যে বাক্যে কোনো বক্তব্য সাধারণভাবে বিবৃত বা নির্দেশ করা হয় তাকে বর্ণনাত্মক বা নির্দেশাত্মক বাক্য বলে। যেমন- এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো। যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, নিষেধ ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ পায় তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। যেমন- সদা সত্য কথা বলবে। যে বাক্যে বিস্ময়, হর্ষ, শোক, ঘৃণা, ক্রোধ, ভয় ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায় তাকে বিস্ময়বোধক বাক্য বলে। যেমন-কী সাংঘাতিক লোক! যে বাক্যে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমন- তোমার নাম কী?
518. পাঁচালিকার হিসেবে সর্বাধিক খ্যাতি কার ছিল?
দাশরথি রায়
রামনিধি গুপ্ত
ফকির গরীবুল্লাহ
রামরাম বসু
কবিগানের যুগে পাঁচালি গান নামে এক ধরনের গান প্রচলিত ছিল এবং এ ধারার শক্তিশালী কবি হিসেবে দাশরথি রায় (১৮০৬-১৮৫৭) প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছিলেন। 'দাশু রায়' নামে তিনি খ্যাত ছিলেন। তিনি নিজেই পাঁচালির দল বেঁধে গান গাইতেন। তার পাঁচালি-পালা দশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
519. 'বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন'- এই পরোক্ষ উক্তির প্রত্যক্ষরূপ হবে:
বাবা ছেলেকে বললেন, বাবা তুমি দীর্ঘজীবী হও
বাবা ছেলেকে বললেন যে, তোমার দীর্ঘায়ু হোক
বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও'
বাবা ছেলেকে বললেন যে, আমি তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি
কোনো কথকের বাক্ কর্মের নামই উক্তি। উক্তি দুই প্রকার। যথা: প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তিতে উক্তিটি প্রার্থনাসূচক বাক্যে থাকলে পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়াপদটি উক্তির অর্থ অনুযায়ী 'প্রার্থনা করল', 'কামনা করল' প্রভৃতি হয়। যেমন প্রত্যক্ষ উক্তি বাবা ছেলেকে বললেন, 'তুমি দীর্ঘজীবী হও।' পরোক্ষ উক্তি- বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন। প্রত্যক্ষ উক্তি- সফিক বলল, 'সৃষ্টিকর্তা তোমাকে দীর্ঘজীবী করুক।' পরোক্ষ উক্তি সফিক সৃষ্টিকর্তার কাছে তার দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করল।
520. প্রচুর + য = প্রাচুর্য- কোন প্রত্যয়?
কৃৎ প্রত্যয়
তদ্ধিত প্রত্যয়
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
শব্দের সঙ্গে (শেষে) যেসব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয়, তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার। যথা: ১. বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় ২. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় ও ৩. তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। প্রচুর + য = প্রাচুর্য; 'য' প্রত্যয় যোগে গঠিত সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়। এরূপ আরও কয়েকটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ: মধুর + য = মাধুর্য, চতুর + য = চাতুর্য, কবি + য = কাব্য, সভা + য = সভ্য, তরুণ + য = তারুণ্য।